বরগুনা প্রতিনিধিঃ
তালাক দেওয়ার অপরাধে সাবেক জামাতাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে বসত বাড়ি লুটপাট করার অভিযোগে শ্বশুর ইউপি মেম্বারকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৯ জুন) বরগুনার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহবুব আলম এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের মৃত রশিদ মৃধার ছেলে মো. মহিউদ্দিন পান্না (৫০)। পান্না নাচনাপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য।
জানা যায়, একই ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামের খালেক খলিফার ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমানের মা রেনু বেগম বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পান্নাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় মামলা করেন। বাদী অভিযোগ করেন, তার ছেলে নোমান মহিউদ্দিন পান্না মেম্বারের মেয়ে লায়লা আক্তার পপিকে বিয়ে করে। পরে পারিবারিক বিরোধের কারণে আব্দল্লাহ আল নোমান তার স্ত্রী লায়লা আক্তার পপিকে তালাক দেয়। তালাক দেওয়ার পরে আসামি মো. মহিউদ্দিন পান্না মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে জোর করে তার মেয়ে লায়লা আক্তার পপিকে নোমানের বাড়িতে থাকতে বাধ্য করে। নোমান পপিকে তার ঘর হতে বাবার বাড়ি যেতে বলায় ২০১৯ সালের ৭ জুন সকাল অনুমান সোয়া ৬ টায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পান্নাসহ ৮-১০ জন নোমানের বাড়িতে ঢুকে ঘরের মালামাল লুট করে নেয়। নোমান বাধা দিলে তার মাথায় পান্না পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। নোমানের মাকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।
নোমান বলেন, আমার স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তালাক দেই। আমার সাবেক শশুর মহিউদ্দিন পান্না দলবল নিয়ে আমাদের বসত ঘরে ঢুকে আমার মাকে আমাকে পিটিয়ে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। ঘরের সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায় পান্না মেম্বর। এখনো আমার বাড়ি পান্নার দখলে। আমি বাড়ি যেতে পারি না।
আদালত প্রাঙ্গণে আসামি পান্না বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আমি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপীল করব।