আবদুর রহিমঃ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনের’ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি সভা করেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৪ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবা উল আলম ভূইঁয়ার সভাপতিত্বে উপজেলা মিলনায়তনে এ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, উপজেলা (পুরুষ) ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, উপজেলা (মহিলা) ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি)পিয়াস চন্দ্র দাশ, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বেলাল হোসেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশ্রাফুল ইসলাম,কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্ষক তদন্ত মোঃ আব্দুস সুলতান,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ যোবায়ের হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কোম্পানীগঞ্জে ৯টি সাইক্লোন সেন্টার, মুজিব কেল্লা ও বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসা সহ ৪৬ টি আশ্রয়ন কেন্দ্র খুলে দেওয়া, ৯টি ইউনিটে ২৩৮০ জন সিপিপি সেচ্ছাসেবক মাঠ পর্যায়ে কাজ করা। স্ব-স্ব ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসারদের স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে সমন্বয়ে করে কাজ করা। উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দীন বলেন, কোম্পানীগঞ্জে উপকূলীয় এলাকায় সাইক্লোন সেন্টার-মুজিব কেল্লাসহ সর্বমোট ৪৬টি আশ্রয়ণ প্রস্তত করা হয়েছে। প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্র পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত খাবার, পানি, আলো, শিশুখাদ্য, ওষুধ, স্যালাইন, শৌচাগার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যারা দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় বসবাস করছে, তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনার প্রস্তুতি চলছে।
এছাড়াও ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও আনসার সদস্যদেরও প্রস্তত থাকতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। স্ব-স্ব ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসারদের স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে সমন্বয়ে করে কাজ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে কন্ট্রোলরুম ও হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য: মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়ার ১০ নং বুলেটিনে প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলেছে, উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরসহ ভোলা ও তার অদূরবর্তী দ্বীপ-চরগুলো ৭ নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।