ইমদাদুল হক,পাইকগাছা, খুলনাঃ
কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ সভাপতি এমএম শফিকুল ইসলাম খুলনা-৬ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে পাইকগাছার গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। শনিবার সকালে তিনি মোটর শোভাযাত্রায় পাইকগাছার বিভিন্ন স্থানে গনসংযোগ করে আইনজীবী সমিতিতে মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়ে তিনি সাম্ভব্য প্রার্থীতার কথা জানানদেন।
মতবিনিময় কালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশে গড়তে পাইকগাছা-কয়রার যোগাযোগ ব্যবস্থা,শিক্ষা ও বেড়িবাঁধ নির্মান এ ৩টি বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিব এবং সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবো । গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করে আগামী দ্বাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় প্রার্থী হবার সুযোগ আছে কিনা?
এমন প্রশ্নের উত্তরে এসএম শফিকুল ইসলাম জানান, গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র হয়ে যারা ভোটে লড়াই করেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী তাদের বহিঃস্কারদেশ প্রত্যাহার করে দলে ফিরিয়ে নিয়েছেন। বিগত ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি জানান, দু’উপজেলায় সাবেক এমপি প্রয়াত এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক দলের তৃনমুল ভোটে জেতার পরেও কিন্তু এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হয়। মনোনয়ন না পেলে কি করবেন? এ জবাবে দল যে নেতার মনোনয়ন দিবেন তিনি তার পক্ষে নির্বাচনী কাজ করার ওয়াদা করেন।
পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এসএম মোসলেম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও আইনজীবী আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় কয়রার দলীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরোও উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আঃ সাত্তার পাড়,নজরুল হক,কাজী আজিজুল হক,মৃনাল কান্তি ( বাবু) ঘোষ,অধ্যাঃ আঃ গনি,সাবেক ইউপি সদস্য প্রশান্ত কুমার বাইনও পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক নেতা বিজন বিহারী সরকারসহ কর্মী সমর্থকরা।