সোহরাব,বরগুনা সংবাদদাতাঃ
বরগুনা সদর উপজেলার ,বদরখালী ইউনিয়নে, বাওয়ালকর গ্রামের ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
জমির মালিক ভুক্তভোগী ওহাব আলী লিখিত অভিযোগে জানায়, জে ,এল নং ৩ ,বাওয়ালকর মৌজায়, বিশখালী নদীর চর লপ্ত পয়ছি ৫৫ একর ভূমি আমার পিতা আবদুর রশিদ সহ মোট ৫ জনে বরিশাল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আদালত হইতে মিস ৬২০ / ৬৭-৬৮ কেসের আদেশ বলে প্রাপ্ত হইয়া দীর্ঘ বছর যাবত ভোগদখল করে আসছেন। একই এলাকার ভূমিদস্যু হালিম চৌকিদার এর নেতৃত্বে , আবুল কালাম চৌকিদার , কবির চৌকিদার, সোবাহান চৌকিদার , শাজাহান চৌকিদার, মো:বাচ্চু ,হাসিব মিয়া, আল আমিন আকন, মোস্তফা পহলান সহ আরো অপরিচিত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জমিতে জোরপূর্বক দখল করার জন্য ইতিপূর্বে মারপিট করেছে।
একপর্যায়ে উল্লেখিত জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে জমির মালিক ভুক্তভোগী ওহাব আলী সহ মোট ৫ জনে বাদী হইয়া বরগুনা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেং ২০৯/১৯৮৬ নং মোকদ্দমা সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করার পর দো-তরফা সূত্রে উক্ত ৫৫ একর ভূমিতে ৩১মার্চ ১৯৮৮ ইং তারিখে রায় ও ২০জুন ১৯৮৮ ইং তারিখে ডিক্রি প্রাপ্ত হয়। উক্ত রায় ডিক্রির বিরুদ্ধে আজাহার আলী পিতা মৃতঃ তাহের আলী চৌকিদার সহ অপর ৭ জনে জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী আপীল ৫৩/১৯৮৮ নং মোকদ্দমা দাখিল করে এবং সরকার পক্ষ দেং আপীল ৬৩/১৯৮৮ নং মোকদ্দমা দাখিল করে।
অতঃপর দেং আপীল ৫৩/১৯৮৮ নং মোকদ্দমা বিগত ইং ০৪ নভেম্বর ১৯৯১ তারিখ খারিজ হয় এবং দেং আপীল ৬৩/১৯৮৮ নং মোকদ্দমা ০৭ফেব্রুয়ারী ১৯৯১ ইং তারিখ খারিজ হয়।
অতঃপর বরগুনা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের ৫৫ একর ডিক্রিকৃত ভূমি উল্লেখে মাঃ হাতেম আলী পিতা মৃতঃ ফয়জদ্দিন মোল্লা গং বরগুনা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে নতুন সৃজিত এস, এ ৬৩৩/৬৩৪/৬৩৫/৬৩৬/৬৩৭ নং খতিয়ান খুলিয়া উহার সহি মোহর নকল গ্রহণ করে। অতঃপর দেং ২০৯/১৯৮৬ নং মোকদ্দমার রায় ডিক্রির বিরুদ্ধে রুস্তুম আলী গং বাদী হইয়া বরগুনা সিঃ সহকারী জজ আদালতে ৮৮/১৯৯৪ নং ডিক্রি বাধ্যকর নহে ও বন্টনের প্রতিকারে মোকদ্দমা দায়ের করিলে উহা দো-তরফা সূত্রে ৩১অক্টোবর ২০১৬ ইং তারিখ খারিজ হয়।
উক্ত খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে রুস্তুম আলী গং জেলা জজ আদালতে দেং আঃ ১৪৯/২০১৬ নং মোকদ্দমা দায়ের করিলে উহা বিচারের জন্য অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে – বদলী হইলে দো-তরফা সূত্রে ১৯জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ আপীল না-মঞ্জুর হয়। নিম্ন আদালতের রায় ডিক্রি বহাল রাখে। কতেক বিবাদীগণ Cress objection দাখিল করিলে তাহাদেরকে ৩০ একর ভূমিতে ছাহামের ডিক্রি দেয়। উক্ত ছাহামের ডিক্রির বিরুদ্ধে ওহাব আলী গং মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সিভিল রিভিশন ৮০৩/ ২০২৩ নং মোকদ্দমা দায়ের করিয়া বিরোধীয় ছাহামের ডিক্রি ২৭ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং তারিখ শুনানীঅন্তে Stay রাখেন।
পরবর্তীতে ২৪আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখ Stay বা স্থগিত আদেশের মেয়াদ বর্ধিত করার জন্য দরখাস্ত করিলে উহা শুনানীঅন্তে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত Stay বা স্থগিত রাখেন। তাহাতে বিরোধীয় ভূমি সিভিল রিভিশন নং ৮০৩/২০২৩ নিষ্পত্তি পূর্বে যাহারা যেভাবে যে অবস্থায় দখলে ছিল ঐ অবস্থাই দখলে থাকার আইনগত বিধান রহিয়াছে মর্মে জানা যায়।
তবে এ ব্যাপারে সরজমিনে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে না পাওয়া গেলেও অভিযুক্ত আবুল কালাম চৌকিদার মুঠোফোনে উল্লেখিত জমি ইতিপূর্বে তাদের কখনোই দখলে ছিলো না সত্যতা স্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে সদর থানার এসআই আলমগীর বলেন , জমির মালিক ওহাব আলী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করলে অভিযোগটি আমাকে তদন্তের নির্দেশ দেন সদর থানা , আমি সরজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীর অভিযোগের সত্যতা পাই।
বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম মিজানুর রহমান বলেন, এ সংক্রান্ত ব্যাপারে ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ভুক্তভোগী ওহাব আলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।